চ্যাটজিপিটি প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং: বেসিক টু অ্যাডভান্স গাইড

চ্যাটজিপিটি প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং: বেসিক টু অ্যাডভান্স গাইড” বইটি মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) টুল, বিশেষ করে চ্যাটজিপিটি, ব্যবহারের একটি নির্দেশিকা । লেখক সাব্বির আহমেদ তার কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখিয়েছেন কীভাবে চ্যাটজিপিটি-এর মতো টুলগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা যায় । বইটির মূল লক্ষ্য হলো ‘প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং’ শেখানো, অর্থাৎ কীভাবে চ্যাটজিপিটি-কে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে উন্নত আউটপুট বের করে আনা যায়, তা বিনামূল্যে বা পেইড উভয় সংস্করণেই সম্ভব ।

বইটির উদ্দেশ্য ও পাঠক

এই বইটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো চ্যাটজিপিটি-এর মতো ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলকে সঠিকভাবে নির্দেশনা দেওয়ার কৌশল সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা । এটি বিশেষভাবে তাদের জন্য উপকারী হবে:

• যারা নতুনভাবে AI ব্যবহার করতে চান কিন্তু প্রম্পট লেখা সম্পর্কে জানেন না ।
• ফ্রিল্যান্সার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, স্টার্টআপ ফাউন্ডার, মার্কেটার এবং ছাত্রছাত্রী ।
• যারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কনটেন্ট তৈরি, লোকাল মার্কেটিং বা শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করছেন ।

অধ্যায় পরিচিতি

বইটি মোট ১১টি অধ্যায়ে বিভক্ত, যেখানে ধাপে ধাপে প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বেসিক থেকে অ্যাডভান্সড কৌশল আলোচনা করা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ১: বেসিক ধারণা ও চ্যাটজিপিটি এর সাথে পরিচয়: এই অধ্যায়ে চ্যাটজিপিটি কী, এর অ্যাপ ইন্সটল প্রক্রিয়া এবং সাইন আপ করার পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ২: প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং বেসিক: এখানে প্রম্পট কী, ভালো ও খারাপ প্রম্পটের উদাহরণ, এবং ভয়েস চ্যাট, ইমেজ জেনারেট ও ফাইল আপলোডের মতো অ্যাডভান্সড ফিচার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ৩: AI ও ল্যাংগুয়েজ মডেল বেসিক: AI, মেশিন লার্নিং এবং GPT, BERT, LLaMA-এর মতো ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলোর প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ৪: প্রম্পটের গঠন: একটি কার্যকর প্রম্পটের বিভিন্ন অংশ এবং ফরম্যাটিং টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ৫: কমন মিসটেক ও সলিউশন: প্রম্পট লেখার সাধারণ ভুল এবং তার সমাধান তুলে ধরা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ৬: প্রম্পট অপ্টিমাইজেশন কৌশল: চেইন-অফ-থট, রোল প্লে এবং জিরো-শট, ওয়ান-শট ও ফিউ-শট প্রম্পটিং-এর মতো কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ৭: রিয়াল লাইফ ইউজ: কনটেন্ট তৈরি, মার্কেটিং, কর্পোরেট কাজ, শিক্ষা এবং ফ্রিল্যান্সিং-এ প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বাস্তব ব্যবহার দেখানো হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ৮: টুলস, টেমপ্লেট ও ওয়ার্কফ্লো: প্রম্পট টেমপ্লেট তৈরি, API ও অটোমেশন এবং সেফটি ও এথিক্স নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ৯: পারফরম্যান্স টেস্টিং: এ/বি টেস্টিং এবং আউটপুট মূল্যায়নের বিভিন্ন মেট্রিকস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ১০: ফিউচার ভিউ: প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভবিষ্যৎ, নতুন ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল এবং ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে ।

চ্যাপ্টার ১১: সামারি ও নেক্সট স্টেপ: বইয়ের মূল বিষয়গুলোর সারসংক্ষেপ এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য রিসোর্স তালিকা দেওয়া হয়েছে ।

এছাড়াও, বইটির শেষে একটি

অ্যাপেন্ডিক্স রয়েছে যেখানে উদাহরণ প্রম্পট, দরকারি ওয়েবসাইট ও টুলের তালিকা এবং একটি সংক্ষিপ্ত গ্লসারি যুক্ত করা হয়েছে